যে যে জেলায় ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে

 দেশে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বেড়েছে, ফলে আগামী চারদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (৭জুলাই) সন্ধ্যায় প্রকাশিত আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় এবং অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে, যা আবহাওয়ায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় একই ধরনের বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ঢাকাসহ দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, এবং কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগগুলোর কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, বর্ধিত পাঁচদিনেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে, বিশেষ করে পাহাড়ি ও উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারীদের প্রতি।